অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলে তীব্র হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইলসা’। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে অথবা শুক্রবার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে। এক দশকের বেশি সময়ের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম হতে যাচ্ছে। খবর সিএনএনের।
অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইলসা আকরিক লোহা রপ্তানির প্রধান বন্দর হাব পোর্ট হেডল্যান্ড ও বৃহত্তম আদিবাসী সম্প্রদায়ের আবাসস্থল বিদ্যাডাঙ্গার মধ্যে কোথাও ল্যান্ডফল (আছড়ে পড়া/ আঘাত হানা) করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার শুরুর দিকে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল বরাবর দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। তবে এটি বাঁক নিয়ে দক্ষিণ-পূর্বমুখী হতে পারে। এ সময় ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ হতে পারে সর্বোচ্চ ২৭৫ কিলোমিটার।
দ্য জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আঘাত হানার পূর্বে ইলসার গতিবেগ ২৪০ কিলোমিটারে পৌঁছাতে পারে। তবে আঘাত হানার পর এটি দুর্বল হতে থাকবে। ইউইএস স্কেলের তথ্য অনুযায়ী, এটি ৪ ক্যাটাগরির হারিকেন হতে পারে।
দেশটির আবহাওয়া বিভাগ আরও জানায়, এই ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের যে শক্তি থাকবে তা শুধু গাছ বা বিদ্যুতের খুঁটিই উপড়ে ফেলবে না বরং ঘড়-বাড়িও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
এদিকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের নানা ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। তাছাড়া সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা সম্পর্কে সতর্ক করতে জরুরি সার্ভিসগুলো দূরবর্তী আদিবাসী সম্প্রদায়, খনি, যাজক স্টেশন ও পর্যটন এলাকাগুলোতে যাচ্ছে।
Leave a Reply